রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়ঃ ৪ টি অব্যর্থ টিপস।

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেটিকে ইমিউনিটি বা ইমিউন সিস্টেম বলা হয় সেটির সুস্থতা এবং সবলতা অপরিহার্য। কেননা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুস্থ ও সবল অবস্থায় থাকলে বাইরের নানাবিধ রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি দুর্বল হয়ে যায় তখন ছোটখাটো সামান্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় সম্বন্ধে এই লেখাতে আলোচনা করব।

৪টি সাধারণ উপায় অবলম্বন করলেই আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারবো। 

১) আদর্শ খাদ্যাভ্যাস।

২) আদর্শ জীবনাচরণ।

৩) পরিমিত শরীরচর্চা।

৪) বদভ্যাস পরিত্যাগ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়

আদর্শ খাদ্যাভ্যাসঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং দীর্ঘ জীবন লাভ করতে আদর্শ খাদ্যাভ্যাস এর অসীম ভূমিকা রয়েছে। 

সবজি ও ফলঃ বিভিন্ন প্রকার সবজি ও ফলের ভেতর প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়ায়। বিভিন্ন রঙের সবজি ও ফল খেতে হবে। 

দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পন্যঃ ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন করে থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্থির নানাবিধ অসুবিধা, হাড় ক্ষয় অস্টিওপোরোসিস ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়। দুধ এবং দুগ্ধজাত নানাবিধ খাদ্য এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। 

প্রোটিন খাবারঃ আমাদের শরীরের কোষ মেরামত ও গঠনে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি খাদ্যগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। 

বাদাম ও বিভিন্ন বীজঃ বিভিন্ন প্রকার বাদাম যেমন কাজুবাদাম কাঠবাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন থাকে। এছাড়াও বাদামের ভেতর থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি। তাই বাদাম এবং বিভিন্ন রকম বীজ যেমন কুমড়ার বীজ, চিয়া সিড ইত্যাদি খেতে হবে নিয়মিত। 

পর্যাপ্ত পানি পানঃ শরীরকে সবসময় হাইড্রেট রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে তা আমাদের শরীরের অভ্যন্তরের বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে বের করে দেয়। আমাদের কিডনিসহ অন্যান্য শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সুস্থ থাকে পর্যাপ্ত পানি পান করলে। 

অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিত্যাগঃ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর চর্বিযুক্ত আহার যেমন লাল মাংস, কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার, ভাজাপোড়া ও মসলা খাবার এছাড়াও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোন প্রকার খাবার পরিত্যাগ করুন।

একটি সঠিক ও আদর্শ খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত বজায় রাখলে তা থেকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়াতে পারি। এছাড়াও এই সকল খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি বাড়ায় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 

আদর্শ জীবানাচরণঃ আদর্শ জীবনারচরণ বলতে একটি নৈতিক জীবন যাপন করাকে বোঝায় যা শারীরিক মানসিক ও আধ্যাত্মিক সকল দিক থেকেই ব্যক্তিকে সুস্থতা প্রদান করে। এটি শুধু খাবার বিষয়েই নয় জীবনের সামগ্রিক বিষয় সমন্বয় করে একটি জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলে। 

আদর্শ জীবন আচরণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীর চর্চা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম, যোগাসনের অভ্যাস, সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি নেশা জাতীয় সামগ্রী পরিহার করা, এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ইত্যাদি।

সব সময় ইতিবাচক চিন্তার অভ্যাস করতে হবে। প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে হবে। নতুন কিছু শেখার বিষয়ে আগ্রহ রাখতে হবে। অপরকে সাহায্য ও সহায়তা করতে হবে। অর্থাৎ সবসময় একটা পজিটিভ ভাইব্রেশন নিজের ভেতরে রাখতে হবে।

সুস্থ থাকতে, দীর্ঘজীবন লাভ করতে ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং শক্তি বাড়াতে এবং দৈনন্দিন কার্যের ক্ষমতা বাড়াতে একটি আদর্শ জীবনাচরণ যথেষ্ট ভাবে সহায়তা করতে পারে। মনে রাখতে হবে আদর্শ জীবন আচরণ এক দিনেই গড়ে ওঠে না। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে অভ্যাসের দ্বারা তা সুষ্ঠুভাবে অর্জন করা যায়। 

পরিমিত শরীরচর্চাঃ সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং এবং ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি পরিমিত শরীর চর্চার দ্বারা মন ও সুস্থ থাকে। শরীরচর্চার বিভিন্ন পদ্ধতি একজন অভিজ্ঞ পরামর্শক এর কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির পক্ষে যে পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী তাকে সেই পদ্ধতির অনুশীলন সচেতনভাবে ও সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে। 

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, হাড় ও মাংসপেশী শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত শরীর চর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও ভীষণ উপকারী। এটি মানসিক চাপ কমায়, উদ্বেগ ও বিষন্নতা কমিয়ে সুন্দর নিদ্রা আনে। আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে, শরীরের শক্তি বাড়ায়, জীবনযাত্রার মানকে উন্নত করে তোলে এবং দীর্ঘজীবন নিশ্চিত করে। 

প্রতিদিন কম করে হলেও অন্তত ৩০ মিনিট শরীর চর্চা করুন। তবে এই বিষয়ে অবশ্যই একজন পরামর্শকের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগঃ খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগের মাধ্যমে আমরা শারীরিক মানসিক ও সামাজিকভাবে উপকৃত হতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নানাবিধ খারাপ অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে যেমন ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত আহার করা, অপর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত শরীর চর্চা না করা, অতিরিক্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, অন্যের সমালোচনা করা বা বাজে গল্প করা, নেতিবাচক চিন্তা করা মিথ্যা কথা বলা, অহংকার, ক্রোধ ইত্যাদি। এই খারাপ অভ্যাস গুলি ভেতর থেকে আমাদের শরীর ও মনকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং যথাসময়ে এটি পরিত্যাগ করতে না পারলে আমাদের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। খারাপ এই বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করতে পারলে আমাদের শরীর হবে সুস্থ ও সুন্দর এবং আমাদের ভেতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। 

খারাপ অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে একটি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। একটি ভালো অভ্যাস দ্বারা একটি খারাপ অভ্যাসের প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। অর্থাৎ কারো হয়তো ধূমপান অথবা মদ্যপানে আসক্তি আছে। তার পরিবর্তে সে হয়তো অর্জুন এর ছাল, শুকিয়ে রাখা আমলকি এই জাতীয় কিছু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারে এবং আস্তে আস্তে ধূমপান এবং মদ্যপানকে পরিত্যাগ করতে পারে। পুস্তক পড়ার অভ্যাস করে নিজেকে সমৃদ্ধ করা যেতে পারে তার ফলে অন্যান্য বদভ্যাসগুলোকে দূরে রাখা যেতে পারে।

এভাবে আমরা সামগ্রিকভাবে সচেতন হয়ে এই কৌশলগুলো অবলম্বনের ফলে আমাদের শরীর ও মনকে যেমন সুস্থ রাখতে পারি এবং শরীরের অভ্যন্তরে আমাদের জীবনী শক্তি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উজ্জীবিত করতে পারি। এবং ফলশ্রুতিতে আমরা নানাবিধ জটিল রোগের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। এবং নিজেদের সুস্থ রেখে সুখী ও সুন্দর জীবনের সাথে সাথে দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির খাবার কি কি?

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বিশেষত লেবু আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে। এছাড়াও কমলা, আদা, পেঁপে, কলা, রসুন, গাজর, পেঁয়াজ, শস্য বীজ, বাদাম, দুধ বিভিন্ন মাছ, হলুদ, নিম, মধু ইত্যাদি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়িয়ে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ঔষধ কি?

সরাসরি জীবনী শক্তি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোন ঔষধ নেই। প্রকৃতপক্ষে একটি আদর্শ জীবনাচরণ, সুষম খাদ্যনীতি এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়ানো যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ কি কি?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো- 

বারবার ঠান্ডা লাগা, কাশি-সর্দি হওয়া, দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগতে থাকা, ক্ষত আরোগ্য হতে দেরি হওয়া, পরিপাকতন্ত্রের নানাবিধ সমস্যা, বারবার সংক্রমণ, চুল পড়ে যাওয়া এছাড়াও আরো নানাবিধ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে প্রত্যক্ষভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কোন লক্ষণ থাকে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে তখন ছোটখাটো রোগ গুলোও শরীরকে আক্রমণ করে নানা অসুস্থতার লক্ষণ তৈরি করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে কোন ভিটামিন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যে সকল ভিটামিন গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা হল 

ভিটামিন সি- লেবু, কমলা, বিভিন্ন টক জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি- সূর্যের আলো থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি থেকে ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই- বিভিন্ন বীজ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

জিংক- মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে জিংক পাওয়া যায়।

এছাড়াও অন্যান্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এগুলোও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কেন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। যেমন অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগ আক্রমণ, ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, বয়স বৃদ্ধির সহজাত ক্রিয়া রূপ ইত্যাদি কারণ থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এছাড়াও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা মতে মায়াজম নামক একটি রোগ বীজ এর প্রভাব থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম হয়ে থাকে। এই রোগ বীজ এর প্রতিকার করলে তবেই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যায়ামঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন ব্যায়ামের অনুসরণ করা যেতে পারে যেমন-

দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, দ্রুত হাঁটা ইত্যাদি অ্যারোবিক ব্যায়াম করা যেতে পারে। 

শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম যেমন পুশআপ, ওজন তোলা, সিট আপ ইত্যাদি অভ্যাস করা যেতে পারে।

বিভিন্ন যোগাসন এর অনুনশীলন করে আমরা শরীর কে সুস্থ রাখতে পারি এবং মানসিকভাবেও সুস্থতা লাভ করতে পারি এবং তা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কে বাড়িয়ে তোলে। 

এই ব্যায়াম গুলো নিয়মিত অভ্যাস করার ফলে মানসিক চাপ কমে, সুন্দর নিদ্রা হয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে শরীরের মনকে সুস্থ রেখে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করে যা আমাদের দীর্ঘ জীবন নিশ্চিত করে এবং সুস্থতা লাভ করতে পারি আমরা। 

কোন নতুন ব্যায়াম শুরু করার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আইটিচহেলথ এর নীতিমালা মেনে তবেই মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। প্রত্যেকটি মন্তব্য প্রকাশের পূর্বে যাচাই করা হয়।

comment url