ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, প্রতিরোধ, ব্যাবস্থাপনা ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর কি? 

এডিস মশা বাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ হল ডেঙ্গু জ্বর। এই ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গি নামেও পরিচিত। এডিস ইজিপ্টি( Aedes aegypti)এবং এডিস এলবোপিক্টাস(Aedes albopictus) নামক মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ডেঙ্গুজ্বর ছড়িয়ে থাকে। Flavivirus নামক ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটে থাকে। এই Flavivirus এর চারটি সেরোটাইপ DENV-1, DENV-2, DENV-3, এবং DENV-4 রয়েছে।

প্রত্যেকটি সেরোটাইপ ই একটি অন্যটি থেকে আলাদা। অর্থাৎ একটি সেরোটাইপ দ্বারা কেউ একবার সংক্রমিত হলে অন্য তিনটি দ্বারা পুনরায় সংক্রমিত হতে পারেন এবং দ্বিতীয়বার সংক্রমনের ক্ষেত্রে জটিলতা আরো বেড়ে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা পূর্বে কখনো ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের ক্ষেত্রে পুনরায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় তিন গুণ বেড়ে যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণঃ 

মশাবাহিত এই ভাইরাল সংক্রমণে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরে বেদনা, ফুসকুড়ির প্রকাশ সহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ প্রকাশ করে। কখনো কখনো এটি আরো কিছু গুরুতর জটিলতা প্রকাশ করে থাকে। যেমন ডেঙ্গু হেমারেজিক ফিভার(DHF) বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম(DSS) এর মত লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট ভীষণভাবে কমে যেতে পারে। ডেঙ্গু ভাইরাস রোগীর অস্থিমজ্জাকে(যেখানে প্লাটিলেট তৈরি হয়) আক্রমণ করার ফলে প্লাটিলেট সংখ্যা হঠাৎ করেই ভীষণভাবে কমে যায়। 

এডিস মশা

ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ও বমি, প্রলাপ বকা ইত্যাদি। 

জ্বরঃ সাধারণত ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর উঠে যেতে পারে। ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত বা তারও অধিক সময় পর্যন্ত এই জ্বরের ভোগকাল হতে পারে। জ্বর জনিত যে কোন প্রকার কষ্টকর উপসর্গ থাকতে পারে। 

মাথা ব্যাথাঃ ডেঙ্গু জ্বরের সাথে প্রায়ই প্রচন্ড পরিমাণে মাথাব্যথা থাকতে দেখা যায়। 

শরীর ব্যথা এবং মাথাব্যাথার সাথে সাথে শরীরের মাংসপেশী বিশেষ করে হাড়ে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হতে পারে। এই কারণে অনেক সময় একে “হাড় ভাঙ্গা জ্বর” বলে থাকেন অনেকে। 

ফুসকুড়ির প্রকাশঃ ডেঙ্গু জ্বরের সাথে প্রায়ই চর্মে লালচে জাতীয় ফুসকুড়ির প্রকাশ হতে দেখা যায়। এই ফুসকুড়ি গুলো সাধারণত মুখে এবং হাত-পায়ে শুরু হয়ে পরে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। 

ডায়রিয়াঃ ডেঙ্গু জ্বরের সাথে অনেক সময় পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সমস্যা থাকতে পারে।

ক্লান্তি ও দুর্বলতাঃ জ্বরের অন্যান্য উপসর্গের সাথে রোগীর ভীষণ দুর্বলতা ও ক্লান্তি থাকতে পারে। রোগীর অরুচি দেখা দেয়। 

প্লাটিলেট কমে যায়ঃ রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে যে অনুচক্রিকা বা প্লাটিলেট তা হঠাৎ করেই ভীষণভাবে কমে যায়। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তক্ষরণ, চর্ম ফেটে রক্তক্ষরণ, শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ইত্যাদি দেখা দিয়ে রোগীকে গুরুতর জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের কোন লক্ষণ যদি আপনার থেকে থাকে দ্রুত একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন অথবা রোগিকে হাসপাতালে পৌঁছে দিন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে করণীয়ঃ

কোন ব্যক্তির ভেতর ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পেলে তৎক্ষণাৎ রোগীকে একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পাঠাতে হবে অথবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। 

চিকিৎসক রোগীর রোগ লক্ষণগুলি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগুলো করাবেন এবং রোগীর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবেন এবং নিম্নে উল্লেখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করবেন।

ঔষধ সেবনঃ চিকিৎসকের পরামর্শে যথা নিয়মে ঔষধ সেবন করতে হবে।

বিশ্রাম নিনঃ রোগীকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম দিতে হবে। রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং রোগী যথাসম্ভব ভারী পরিশ্রম এড়িয়ে চলবেন।

প্রচুর তরল পান করুনঃ ডেঙ্গু জ্বরের সাথে যদি ডিহাইড্রেশন থাকে বিশেষ করে ডায়রিয়া হলে শরীরে প্রচন্ড পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ জল বা কোন ফলের রস অথবা নির্ভেজাল জুস এ জাতীয় তরল খেতে দিতে হবে। ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানিয় রোগীকে পান করতে দিলে রোগীর ক্লান্তী ও দুর্বলতা রোধ করা সম্ভব হবে। 

স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ রোগীকে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাবার খেতে দিতে হবে। শাকসবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রোগীকে খেতে দিন। 

মানসিক চাপ কমানঃ রোগীকে কোন মানসিক দুশ্চিন্তা করতে দেওয়া যাবে না। সর্বদা তাকে সকল বিষয়ে মনোবল প্রদান করতে হবে। 

ধূমপান এড়িয়ে চলুনঃ ধূমপান রোগীর শারীরিক জটিলতা গুলোকে আরো বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সকল প্রকার ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এমনকি অন্য কোন তামাকজাত নেশা থাকলে তা পরিহার করুন। 

ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যত দ্রুত সম্ভব এই সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মনে রাখবেন ডেঙ্গু জ্বরের কোন প্রতিষেধক বা টিকা নেই যা একবার গ্রহণ করলে পরবর্তীতে আর কখনো ডেঙ্গু হবে না। এমন কোন টিকা বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তার অবশ্যই আরোগ্যকারী চিকিৎসা আছে। তাই ভীত হবেন না যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

আরো পড়ুনঃ
জ্বরের প্রকারভেদ, ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়ঃ 

বর্ষাকালের আরম্ভ থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ শুরু হয়ে যায়। সাধারণত গ্রীষ্মের শেষের দিকে শুরু হয়ে সমস্ত বর্ষাকাল জুড়েই ডেঙ্গুর প্রভাব অব্যাহত থাকে। তবে শীতকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ তুলনামূলক অনেকটা কমে যায়। 

কারণ উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়া মশার প্রজনন এবং জীবনকালের অনুকূল বলে বিবেচিত হয়। বর্ষাকালে বিভিন্ন খোলাপাত্রে জমা স্থির জলে মশা ডিম পেড়ে প্রজনন ঘটায় এবং অতি দ্রুত বংশ বিস্তার করে। 

ডেঙ্গু জ্বর রোগীকে অসুস্থ করার পাশাপাশি মারাত্মক জটিল পরিণতিও ডেকে আনে তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতিব জরুরী।

নিচে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি বা উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

মশা নির্মূলে পদক্ষেপঃ ঘরবাড়ি, পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোন খোলাপাত্রে জল জমতে দেওয়া যাবেনা। ফেলে দেওয়া নারকেলের মালা, বিভিন্ন পাত্র এসব সরিয়ে ফেলতে হবে। ঘরের দরজা, জানালা এবং ফাঁকা স্থানে মশারি টাঙ্গিয়ে মশা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। সরকারের মশা নিধন অভিযানে সহায়তা করতে হবে।

ব্যক্তিগত সতর্কতাঃ ব্যক্তিগত সতর্কতা দ্বারা মশার আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। যেমন হাত-পা ঢাকতে হাতা লম্বা পোশাক পরতে হবে। ঘরের দরজার জানালায় মশারির ব্যবহার করতে হবে। ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

অতিরিক্ত সতর্কতাঃ নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখতে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। 

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সুষম খাবার খেলে জীবনী শক্তি সবল থাকবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুল, কলেজ, মন্দির, মসজিদ এই সকল স্থানে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মশালা গ্রহণ করতে হবে। গণমাধ্যমে ডেঙ্গির প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ডেঙ্গির সংক্রমণ এর ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সচেতনতা ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার দ্বারা ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জনসমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে এবং কার্যকরী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু মুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

ডেঙ্গু জ্বরের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাঃ 

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি একটি জনপ্রিয় বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দেখা গেছে শক্তিকৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হোমিওপ্যাথিতে যে কোন রোগের চিকিৎসায় লক্ষণ সাদৃশ্যকে বিবেচনায় রেখে ঔষধ নির্বাচন করা হয়। 

নিচে ডেঙ্গু জ্বরের বেশ কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ইউপেটোরিয়ায় পার্ফোলিয়েটামঃ জ্বরের সাথে রোগীর প্রচন্ড পরিমাণে হাড় ভাঙ্গার ন্যায় বেদনা থাকে। রোগীর মাংসপেশী ও সকল গিটে বেদনা হয়। এই লক্ষণে ইউপিটোরিয়াম পার্ফোলিয়েটাম ঔষধটি ব্যবহারে সুন্দর ফল পাওয়া যায়। 

রাস টক্সঃ এই ঔষধটিতেও রোগীর গিঁটে গিঁটে প্রচন্ড বেদনা থাকে। তবে ফুসকুড়ির নেয় উদ্ভেদ বের হতে দেখা যায়। পিপাসা ও অস্থিরতা বেশি থাকে রোগীর। 

আর্সেনিকাম অ্যাল্বামঃ প্রচন্ড দুর্বলতা, অস্থিরতা এবং পিপাসা থাকে রোগীর। এর সাথে প্রচন্ড মৃত্যু ভয় দেখা দেয়। রোগী বারংবার বলতে থাকে “আমি আর বাঁচবো না” ইত্যাদি ।

ব্রায়োনিয়া এল্বাঃ রোগীর প্রচন্ড মাথা ব্যথা থাকে। রোগী প্রায়ই শুয়ে থাকতে চায়। কেননা তার চলাফেরা তে সকল কষ্ট বেড়ে যায়। পায়খানা শক্ত হয়ে যায়।

জেলসিনিয়ামঃ জ্বর, মাথা ব্যাথা, প্রচন্ড দুর্বলতা এবং চক্ষুর পেছনে বেদনা বা অস্বস্তি হেতু চক্ষু অর্ধ নিমিলীত রাখা এই ওষুধের বৈশিষ্ট্য। 

সালফারঃ এটি ধাতুগত পরিবর্তনের জন্য সাহায্য করে থাকে। যদি মনে হয় রোগীর সোরিক মায়াজম এ ঔষধ শক্তি দ্বারা আঘাত করতে হবে, তবে লক্ষণ সাদৃশ্য থাকলে সালফারের ন্যায় ঔষধকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

উপরে আলোচিত এই সকল ঔষধ ছাড়াও অন্য যেকোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধই ডেঙ্গু জ্বরের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে যদি রোগ এবং রোগীর সকল বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। সঠিক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হলে রোগীর প্লাটিলেট এর সংখ্যা পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। মনে রাখবেন যে কোন রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কখনোই কোনো ঔষধের ব্যবহার করা ঠিক নয়।

ডেঙ্গু জ্বর বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বঃ 

ডেঙ্গুজ্বর বিষয়ক কিছু প্রশ্ন যেগুলো প্রায়ই মানুষজন জানতে চাই এখন সেই রকম কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে এই পর্বে আলোচনা করব। 

প্রশ্ন ১) ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে? 

উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে আরো দুই এক দিন বেশি জ্বরের ভোগকাল হতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরেও পরবর্তী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হবে যাতে অন্য কোন প্রকার জটিলতা কে প্রতিরোধ করা যায়। 

প্রশ্ন ২) ডেঙ্গু জ্বর কি ছোঁয়াচে রোগ? 

উত্তরঃ না ডেঙ্গু জ্বর কোন প্রকার ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটি একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় না। শুধুমাত্র জীবাণু বাহি এডিস মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ানোর মাধ্যমেই এই রোগ সংক্রামিত হয়ে থাকে। 

প্রশ্ন ৩) ডেঙ্গু জ্বরে কি গোসল করা যাবে? 

উত্তরঃ হ্যাঁ ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে। তবে উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করে গোসল করা সর্বোত্তম। 

প্রশ্ন ৪) ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খাবেন? 

উত্তরঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে যতটা সম্ভব তরল পানীয় বেশি মাত্রায় পান করতে হবে। যেমন খাবার স্যালাইন, ডাবের জল, লেবুর শরবত ইত্যাদি। লঘুপাক অথচ সহজপাচ্য এবং বলকারক খাদ্য খেতে হবে। জ্বরকালীন পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এই সময় গুরুপাক আহার সর্বদাই পরিত্যাজ্য। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। 

প্রশ্ন ৫) ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর কত সময় পর জ্বর হয়?

উত্তরঃ এডিস মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সব সময় জ্বর নাও হতে পারে। দেখা গেছে মশা কামড়ানোর চার থেকে দশ দিন পর জ্বর এসেছে। কখনো কখনো মশা কামড়ানোর ১৫ দিন পরেও রোগীকে জোরে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুনঃ
মৃগী রোগ কি? লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা

ডাঃ দীপংকর মন্ডল।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ
১৭.০৪.২০২৪

—————–

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগের নীতিমালা মেনে তবেই মন্তব্য করার অনুরোধ রইল। প্রত্যেকটি মন্তব্য প্রকাশের পূর্বে যাচাই করা হয়।

comment url