হোমিওপ্যাথিক ওষুধের অপব্যবহার সৃষ্ট রোগ আরোগ্য হয় কি?

হোমিওপ্যাথিক ওষুধের অপব্যবহার সৃষ্ট রোগ আরোগ্য হয় কি?

জগতে যত প্রকার ঔষধের যতপ্রকার বিষক্রিয়া বা পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে তারমধ্যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অধিক মারাত্মক। কেননা হোমিওপ্যাথিক উচ্চশক্তির ঔষধ দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম রোগ অনেক সময় অন্য কোন ঔষধ দ্বারাই দূরীভূত করা বা এন্টিডোট করা সম্ভব হয় না। এটি অর্গাননের মহাত্মা স্যামুয়েল হ্যানিম্যান স্বয়ং বলে গেছেন। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর অপব্যবহারে সৃষ্ট রোগ অন্য কোন ঔষধ দ্বারাই প্রতিকার করা যায় না। জীবনীশক্তির নিজস্ব প্রচেষ্টায় যদিওবা কখনও সেই রোগ দূরীভূত হয় তা সৌভাগ্যক্রমে ঘটে থাকে।
স্থূল ঔষধে সৃষ্ট অনেক ঔষধজ রোগ শক্তিকৃত ঔষধ দ্বারা আরোগ্য করা যায়। জীবনযাপনের অনিয়মে সৃষ্ট রোগ কিছুদিন আবার নিয়মিত জীবনযাপন দ্বারা সুস্থ হওয়া যায়।
হোমিওপ্যাথি


কিন্তু হোমিওপ্যাথিক উচ্চ শক্তির অপব্যবহার দ্বারা সৃষ্ট রোগ ভিন্ন কোনো ওষুধেই আর যায় না।
এই ক্ষেত্রে ঔষধজ এই রোগ দূরীভূত করনের ক্ষেত্রে যদি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায় তো সেগুলো এরকমঃ
১) কিছুদিন ঔষধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে। তাহলে ঔষধের ক্রিয়াকাল সমাপ্তির সাথে সাথে রোগ লক্ষণ দূরীভূত হলেও হতে পারে।
২) কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পরও যদি রোগলক্ষণ দূরীভূত না হয় তাহলে আর ভিন্ন কোন প্রচেষ্টা না করে অপেক্ষা করা সমীচীন। কেননা সময়ের সাথে সাথে জীবনীশক্তির নিজস্ব প্রচেষ্টায় সেই লক্ষণ দূরীভূত হতে পারে।
৩) কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন ব্যতিরেকে অনেক দিন অপেক্ষার পর তারপরও যদি ঔষধজ লক্ষণ না যায় তবে তখনকার লক্ষণ সাদৃশ্যে উপযুক্ত একটি হোমিও ঔষধ উপযুক্ত শক্তিতে সেবন করতে হবে।
(বিঃদ্রঃ হোমিওপ্যাথিক ঔষধের উচ্চশক্তির অপব্যবহার মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। যা অনেক ক্ষেত্রে দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়ে থাকে। এই কারণে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে উচ্চশক্তির হোমিও ঔষধ ব্যবহার করা অনুচিত।)
এই বিষয়ে মনীষী ডাঃ কেন্টের বক্তব্যঃ
“If our medicines were not powerful enough to
kill folks, they would not be powerful enough to
cure sick folks. It is well for you to realize that you are dealing with razors when dealing with high potencies.”
-Dr. Kent.
অর্থাৎঃ
যদি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ একজন মানুষকে হত্যা করার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী না হতো তাহলে তা একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে রোগ থেকে বাঁচাতেও পারতনা । তুমি এটা অনুভব করতে পারলে ভালো যে তুমি যখন উচ্চশক্তি হাতে নিয়েছ তখন তুমি ক্ষুর নিয়ে নাড়াচড়া করছ।
-ডাঃ কেন্ট।
————————
ডাঃ দীপংকর মন্ডল
ডিএইচএমএস(ঢাকা)
২৩/১২/২০২১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url