ajkerit

শিশুর নাক বন্ধ হওয়ায় স্যাম্বুকাস

শিশুর নাক বন্ধ হওয়ায় স্যাম্বুকাসঃ

আমাদের প্রায়ই শিশুরোগীদের নাক বন্ধ রোগ লক্ষণের চিকিৎসা করতে হয়। নাক বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা মায়ের দুধ পর্যন্ত স্বস্তি সহকারে খেতে পারে না। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া লক্ষণে আমাদের অনেক সময় স্যাম্বুকাস ঔষধটিকে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ওই যে হোমিওপ্যাথির মূলনীতি Treat the patient not the disease অনুসারে চিকিৎসা করতে হলে কোন বিশেষ লক্ষণে বাধাগতে কোন ঔষধের ব্যবহার চলে না।

তাই নাক বন্ধ লক্ষণ এ স্যাম্বুকাস ঔষধটি কে নির্বাচন করতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম নিম্নোক্ত এই সকল বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।

Debangshu Mondal


যে সকল ঔষধের নাসিকা বন্ধ হয়ঃ যে সকল ঔষধের নাসিকা বন্ধ এই লক্ষণটি আছে- স্যাম্বুকাস, এমন কার্ব, নাক্স ভম, লাইকোপোডিয়াম, হিপার সালফ, কেলি বাইক্রমিকাম, আইওডিয়াম, স্টিক্টা, টিউবারকুলিনাম বভিনাম, ক্যাম্ফর।

নাসিকা বন্ধ লক্ষনে আমাদের স্যাম্বুকাস ঔষধটি প্রয়োগ করতে হলে দুইটি লক্ষণের উপর বিশেষভাবে নজর রাখতে হবেঃ
১) সর্দি কারণে নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট। এর সাথে অনেক সময় কাশি থাকে তবে সেই কাশির সাথে কোন শ্লেষ্মা ওঠেনা।
২) জেগে থাকা অবস্থায় প্রচুর ঘাম কিন্তু ঘুমিয়ে গেলে ঘামহীন শুষ্ক অবস্থা।
(ঘর্মের কিছু বিচিত্রতাঃ স্যাম্বুকাস এর ঠিক বিপরীত অর্থাৎ জাগ্রত অবস্থায় ঘর্মহীন কিন্তু ঘুমিয়ে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ঘেমে যায়- সিঙ্কোনা, কোনিয়াম। বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদিত অংশে ঘাম-বেলেডোনা। অনাচ্ছাদিত অংশে ঘাম-থুজা। দেহের শুধুমাত্র কোন বিশেষ অংশে ঘাম যেমন শরীরের এক পাশে ঘাম-পালসেটিলা)

স্যাম্বুকাস এর নাসিকা বন্ধের আরো বিশিষ্টতা এই যে এর রোগীর সর্দিজনিত নাক বন্ধ অবস্থায় নিঃশ্বাস গ্রহণ করা অপেক্ষা নিঃশ্বাস ত্যাগ করা অধিক কষ্টকর।

ল্যাকেসিস এর মত স্যাম্বুকাস এরও নিদ্রায় বৃদ্ধি লক্ষণ স্পষ্ট। এই জন্য রোগী নিদ্রা গেলে ঘুম অবস্থায় নাক বন্ধের ওই ভাবটি বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভয়বিহ্বল চিত্তে জেগে ওঠে। এই অবস্থায় রোগী কিছুক্ষণ উঠে বসে থাকলে দম বন্ধ ভাবজনিত কষ্ট কিছুটা কমে। আবার শুয়ে নিদ্রা গেলে ওই একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

স্যাম্বুকাস এর বৃদ্ধি সাধারণত মধ্যরাত হতে ভোর ৩টা পর্যন্ত এবং বাম পাশে শয়নে রোগ লক্ষণ বেড়ে যায়।
ফলমূল খেলে রোগ লক্ষণ বেড়ে যায়।
সঞ্চালনে এবং আচ্ছাদনে এর রোগ লক্ষণ কম পড়ে।

ক্যামোমিলার ন্যায় গায়ে পড়ে ঝগড়া করার মানসিকতা, অতিশয় খিটখিটে মেজাজ এইসব লক্ষণ স্যাম্বুকাস এর মানসিক অবস্থা।

ভয়জনিত কোন কারনে আবির্ভূত কোন মানসিক রোগ- লক্ষণে ওপিয়াম এর পর অনেক সময় স্যাম্বুকাস এর দরকার হয়।

স্যাম্বুকাস একটি শীতকাতর ঔষধ এবং ঔষধটির ক্রিয়ার গভীরতা খুব কম। তাই ক্রনিক রোগক্ষেত্রে মায়াজমেটিক ঔষধের সহযোগী ঔষধ হিসেবে প্রয়োগ ব্যতিরেকে স্বতন্ত্রভাবে এটি তেমন ক্রিয়া করতে পারে না।

এম ভট্টাচার্য এর
মেটেরিয়া মেডিকা অবলম্বনেঃ
ডাঃ দীপংকর মন্ডল।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ।
০৩.১০.২০২৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit