ajkerit

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ বৈজ্ঞানিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তিকরণ বৈজ্ঞানিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডাল্টন এর মতবাদ অনুসারে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা এটম। অর্থাৎ তার এই মতবাদ অনুসারে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা এটম অবিভাজ্য বা তাকে আর ভাঙা যায় না । এটম যেহেতু পদার্থের সর্বক্ষুদ্র কণা, তাই শক্তির কোন স্তরে যদি এটম না থাকে, তবে সেখানে পদার্থ বা বস্তুকণা অনুপস্থিত বলে ধরা হয়।

কিন্তু দেখা যায় যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রথম ৯ টি ডাইলিউশন এর পরবর্তী ডাইলিউশনে ঔষধের যে শক্তির উদ্ভব হয় তাতে এটমের অস্তিত্ব থাকে না।
তাহলে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে ক্রিয়া করে?
এখানে বিবেচ্য এই, ডাল্টনের এটমিক থিউরির পরবর্তীতে যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আবিষ্কৃত হয় তাতে প্রমাণিত হয় যে এটমকে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন প্রভৃতি পাওয়া যায়। অর্থাৎ এটম অবিভাজ্য নয় বরং এটমকে সুন্দর ভাবে বিভাজন করা যায়।

এছাড়াও বস্তু অবিনশ্বর ও সীমাহীনভাবে বিভাজ্য। পদার্থকে বিভাজিত ও পরিবর্তন দ্বারা শক্তির নানা পরিবর্তন করা যায় এবং শক্তির প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি করা যায়। 

প্রখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (Theory Of Relativity) এর সমীকরণ অনুযায়ীঃ
E=mc2
এখানে…………
E=শক্তি
m=বস্তর ভর
c=আলোর গতি
এই সমীকরণ অনুযায়ীঃ
শক্তির পরিমাণ=(বস্তুর ভর ×আলোর বেগের বর্গ)

উক্ত সমীকরণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে-
পদার্থকে শক্তিতে রুপান্তর করলে শক্তির প্রচণ্ডতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। তাই সদৃশবিধান (Similia Similibus Curentur) নীতি অনুযায়ী বস্তুকে নির্দিষ্ট নিয়মে ঘর্ষণ, মর্দন ও ঝাকি দ্বারা প্রচন্ড শক্তির সৃষ্টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই থেকে বোঝা যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শক্তি করণ বৈজ্ঞানিক নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।
………………………………………………………
লেখকঃ
দীপংকর মন্ডল(ডিএইচএমএস, চতুর্থ বর্ষ,বিএইচবি)
১৯/১১/২০২০ বৃহস্পতিবার।
………………………………………………………
এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন লেখা কপি না করার অনুরোধ রইলো। প্রয়োজনে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।
………….

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit