রোগ নিরাময়ে ঔষধ ও পথ্যের ভূমিকা
রোগ নিরাময়ে ঔষধ এবং পথ্য দুটিরই প্রয়োজন হয়। যতক্ষণ কোন ভেষজ স্থূল আকারে থাকে, ততক্ষন সেটি ভেষজ যেমন, ঠিক তেমনি সেটি পথ্যও বটে।
কিন্তু হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয়। অন্যান্য সকল প্রকার স্থূল ঔষধ থেকে যেটি ভিন্ন।
সাধারণত নিম পাতার রস স্থুল আকারে যতক্ষণ থাকে তা ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার তা পথ্য হিসাবে খাদ্যের সাথে/ভাতের সাথে নিম পাতা ভাজি করেও খাওয়া যেতে পারে। এতে করে রোগী বল পাবে, শক্তি পাবে, ইত্যাদি।
কিন্তু নিমপাতা হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার নিয়মানুযায়ী যদি ডাইলিউশন এবং ডাইনামাইজেশন করা হয়, তখন এটি হোমিওপ্যাথিক শক্তিকৃত ঔষধ হবে। তখন এই শক্তিকৃত ঔষধ জীবনী শক্তির সূক্ষ্ম স্তরে ক্রিয়াশীল হবে।
সাধারণত হোমিওপ্যাথিক অথবা বায়োকেমিক যেকোনো ধরনের ঔষধের নিম্নক্রমে স্থূলতা থাকে। ডাইলিউশনের ক্রম অনুসারে এই স্থূলতা হ্রাস পায়। অর্থাৎ ঔষধ যত স্থূল, তা তত ভেষজগুণ সম্পন্ন এবং ক্ষেত্রবিশেষে ও পরিস্থিতি বিবেচনায় একে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা চলে।
বায়োকেমিক উচ্চশক্তির ঔষধে হয়ত ভেষজ গুণ নেই, আছে ডায়নামিক শক্তি। কিন্তু নিম্ন শক্তিতে তো স্থুলতা আছে। তাহলে এটি নিশ্চয়ই পথ্য হিসেবে ব্যবহার কার্যকারিতা আছে।
তাই আমার মনে হয় পথ্য হিসাবে অন্যান্য যেসব খাবার ক্যালসিয়ামের গঠন আনয়ন করে, তার সাথে ক্যালকেরিয়া ফস 6x অন্ততপক্ষে পথ্য হিসাবে খাওয়া যাবে। তাতে নিশ্চয়ই কিছু উপকার পাওয়া যাবে। যেহেতু এটি টিস্যু রেমেডি, এবং ‘স্বভাবের অভাব পুরন’ই এই পদ্ধতির ঔষধ এর মূল কথা।
আর একটি কথা বায়োকেমিক ঔষধকে অনেকটা হোমিও পরিবারের সদস্য বলা যায়। যদিও চূড়ান্ত বিচারে এটি ডাঃ শুশলার কর্তৃক আবিষ্কৃত ভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি।
………………………………………………………
লেখকঃ
দীপংকর মন্ডল(ডিএইচএমএস, চতুর্থ বর্ষ,বিএইচবি)
২৬/১১/২০২০ বুধবার।
………………………………………………………
এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন লেখা কপি না করার অনুরোধ রইলো। প্রয়োজনে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।
………….
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url