ajkerit

মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক?

মায়াজম অর্জিত নাকি বংশানুক্রমিক?

মহাত্মা হ্যানিম্যান এর মতে যাবতীয় রোগ ব্যাধি মায়াজমের অশুভ শক্তির প্রভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই মায়াজমকে চির উপবিষ, কলুষ, পুতিবাষ্প ইত্যাদিও বলা হয়ে থাকে।
হ্যানিম্যানের মতানুসারে মানুষের শরীরে তিন প্রকারের মায়াজম থাকে। এগুলো হলো সোরা, সিফিলিটিক ও সাইকোটিক।

এখানে লক্ষণীয় যে ‘সিফিলিস’ এবং ‘সিফিলিটিক’ মায়াজম কিন্তু এক নয়। ঠিক তেমনি ‘সাইকোসিস’ ও ‘সাইকোটিক’ মায়াজমও এক নয়। সিফিলিস রোগটি যখন বিসদৃশ  চিকিৎসার দ্বারা আরোগ্য না হয়ে মানব শরীরের অভ্যন্তরে চাপা পড়ে এবং তার ফলে শরীরের যে দোষের সৃষ্টি হয় তাকে সিফিলিটিক মায়াজম বলে। তেমনি  সাইকোটিক বা প্রমেহ রোগ বিসদৃশ  চিকিৎসা দ্বারা চাপা পড়লে সাইকোটিক মায়াজমের সৃষ্টি হয়।
এখন এই তিনটি মায়াজম এর ভেতর আদি রোগবীজ সোরা বংশপরম্পরায় সেই আদিকাল থেকে প্রবাহিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ সোরা নিজ জীবনে অর্জন করা যায় না, শুধুমাত্র প্রাপ্ত করা যায়। কিন্তু সাইকোটিক ও সিফিলিটিক মায়াজম এক জীবনেই অর্জন করা যায়। কেননা দূষিত সঙ্গম দ্বারা কেউ যখন সিফিলিস রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং বিসদৃশ চিকিৎসা দ্বারা সেই রোগ লক্ষণ চাপা দেওয়া হয় তাহলে সেই ব্যক্তি ‘সিফিলিটিক’ দোষ অর্জন করে। তদ্রুপ একই ভাবে সাইকোসিস বা প্রমেহ রোগ চাপা দিয়ে সাইকোটিক দোষও রোগী অর্জন করতে পারে।
তাই আমরা দেখতে পাই সোরা বংশানুক্রমিক বা প্রাপ্ত আকারে প্রবাহিত হয় আর সিফিলিটিক ও সাইকোটিক মায়াজম অর্জিত এবং প্রাপ্ত উভয় আকারেই প্রবাহিত হয়। অতএব মায়াজম সমূহ প্রাপ্ত এবং অর্জিত উভয় প্রকারেই প্রাপ্ত হওয়া যায়।
………………………………………………………
লেখকঃ
দীপংকর মন্ডল(ডিএইচএমএস, চতুর্থ বর্ষ,বিএইচবি)
০২/১০/২০২০ শুক্রবার।
………………………………………………………
এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন লেখা কপি না করার অনুরোধ রইলো। প্রয়োজনে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।
………….

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit