ajkerit

হাড় জোড়া না লাগার কারণ

হাড় জোড়া না লাগার কারণ

সাধারণত হাড় জোড়া লাগতে সময়ের কিছু তারতম্য থাকলেও প্রায় ক্ষেত্রেই আর অল্প সময়ের ভেতর হাড় জোড়া লেগে যায়। তবে পরিস্থিতির বিচারে কিছু ক্ষেত্রে হাড় জোড়া লাগতে অনেক সময় লেগে যায় বা কিছু ক্ষেত্রে হাড় জোড়া না লাগতে পারে।

একটা নির্দিষ্ট সময় পরও যথানিয়মে নিজে নিজে হাড় জোড়া না লাগালে তাকে নন ইউনিয়ন বলে।

হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হওয়ার কারণঃ অথবা হাড়জোড়া না লাগার কারণ নিম্নে আলোচনা করা হল-
১) ত্রুটিপূর্ণ চিকিৎসাঃ চিকিৎসায় যদি কোনরূপ ত্রুটি থেকে যায়, তাহলে হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হতে পারে বা জোড়া না লাগতে পারে।
২) চিকিৎসা না করাঃ অস্থিভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সাথে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু যদি অসচেতনতার কারণে চিকিৎসা না করা হয়, তবে আর জুড়তে বিলম্ব হতে পারে বা হাড় জোড়া লাগতে পারে।
৩) জীবাণু সংক্রমণঃ ভগ্ন অস্থি স্থানের ক্ষততে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তবে অস্থি জোড়া লাগতে বিলম্ব হতে পারে বা জোড়া না লাগতে পারে।
৪) ভিটামিনের অভাবঃ শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব থাকে তাহলে ভগ্ন অস্থির ক্ষত সারাতে যে পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন তা সরবরাহ করতে পারে না ফলে অস্থি ক্ষত সারতে বিলম্ব হয়।
৫) ত্রুটিপূর্ণ অনড়করণঃ ভগ্ন অস্থিতে নড়াচড়া লাগলে অস্থির জুড়তে ব্যাঘাত ঘটে ও নানাবিধ ও অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাই ভগ্ন অস্থিতে যথাযথভাবে অনড়করন এর ব্যবস্থা নিতে হবে। আহত স্থানকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে।
৬) ফরেন বডির উপস্থিতিঃ ক্ষত স্থানে যদি বাহিরের কোন বস্তুর অস্তিত্ব থেকে যায় সে ক্ষেত্রে ইনফেকশন তৈরি হতে পারে ও অস্থি জোড়া লাগতে বিলম্ব হতে পারে।
৭) বৃদ্ধ বয়সঃ সাধারণত অল্প বয়সীদের হাড় দ্রুত জোড়া লেগে যায়। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে হাাড় জুড়তে যে সমস্ত উপাদান দরকার তার ঘাটতি থাকার কারণে জুড়তে বিলম্ব হয় বা কিছুক্ষেত্রে জোড়া লাগে না।
৮) ত্রুটিপূর্ণ রিডাকশনঃ ভগ্নন অস্তি যদি সঠিকভাবে সন্নিবেশিত না হয় তাহলে হাড় জোড়া লাগতে অধিক বিলম্ব দেখা দেয়।
এছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ ডিস্ট্রাকশন, প্যাথলজিক্যাল ফ্রাকচার, ইন্টার্নাল ফিক্সেশন, সিফিলিস রোগ ইত্যাদি কারণে হাড় জোড়া লাগতে বিলম্ব হয় বা জোড়া না লাগতে পারে।
হাড়জোড়া না লাগার ব্যবস্থাপনাঃ বিলম্বে অস্থি সংযোগের বা হাড় জোড়া না লাগার ক্ষেত্রে দেখা যায় তিন মাসের অধিক সময়ের ভেতর হাাড় জোড়া লাগে না। হাড় জোড়া না লাগার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ব্যবস্থাপনা সমূহ গ্রহণ করতে হব-
সাধারণত এসব ক্ষেত্রে কারণ অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন যদি দেখা যায় যে জীবাণু সংক্রমণের ফলে হাড় জোড়া লাগছে না, তাহলে যথাযথ জীবানুনাশক ব্যবহার করতে হবে। যদি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তবে এই ঘাটতি দূর করতে হবে। শরীরের রক্ত দুষ্টির কারণে যদি গ্যাংগ্রিন, টক্সিমিয়া ইত্যাদি রোগ প্রকাশ পায় সে ক্ষেত্রে এমপুটেশন করতে হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সুগারের মাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে ক্ষত আরগ্যে বিলম্ব হয়।
………………………………………………………
লেখকঃ
দীপংকর মন্ডল(ডিএইচএমএস, চতুর্থ বর্ষ,বিএইচবি)
২১/১০/২০২০ বুধবার।
………………………………………………………
এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোন লেখা কপি না করার অনুরোধ রইলো। প্রয়োজনে শেয়ার করুন।
ধন্যবাদ।
………….

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit