ডায়াবেটিক ফুট ও তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ডায়াবেটিক ফুট ও তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ডায়াবেটিক ফুট কিঃ ডায়াবেটিক ফুট হল ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের তলার একপ্রকার ক্ষত। শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার পর পায়ের তলায় অভাব হতে দেখা যায় তখন চলাফেরা বা বিভিন্ন সময়ে পায়ের তলায় আঘাত লাগলে তা ঠিক মত অনুভূত হয় না । এভাবে আঘাত লাগতে লাগতে কোন এক সময়ে পায়ের তলায় ক্ষত সৃষ্টি হয় । ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের তলার এই ক্ষত কে ডায়াবেটিক ফুট বলে

ডায়াবেটিক ফুট এর কারণঃ ডায়াবেটিস একটি ঘাতক ব্যাধি । এটি নীরবে-নিভৃতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বংস করতে থাকে । ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের শরীরে ইনসুলিন এর ঘাটতি হয়, ফলে কার্বোহাইড্রেট কে শরীর ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারে না এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই কার্বোহাইড্রেট এর অভাব হওয়াতে আমাদের শরীরের স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায় । এক্ষেত্রে বিশেষভাবে শরীরের স্মানায়ুগুলো রাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অসারতা দেখা দেয় । এই অসারতা অনেক সময় পায়ের তলায় দেখা দেয় । এর ফলে ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের তলে আঘাত লাগতে লাগতে একসময় ক্ষত তৈরি হয় আর যেহেতু ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায় ও রক্ত ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না ফলে ক্ষতস্থানে ঠিকমতো রক্ত না পৌঁছানোর কারণে পায়ে ঘা বা ক্ষত টি সহজে শুকায় না।

এছাড়া আরো যেসব কারণে এটি হয়ঃ

১) খালি পায়ে চলতে গিয়ে বারবার আঘাত লাগলে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
২) খুব শক্ত ধরনের জুতা পড়লে অনেক সময় ডায়াবেটিক ফুট হতে পারে।
৩) ধূমপায়ী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এই ক্ষত আরোগ্য হতে সময় লাগে, কেননা ধূমপান রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে থাকে।
চিকিৎসাঃ ডায়াবেটিস রোগীর প্রথম কাজ হলো তার রক্তের সুগার কমাতে হবে । এ ক্ষেত্রে রোগী তার পরিস্থিতি অনুযায়ী যে কোন চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে । পায়ের ক্ষত নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক ক্যালেন্ডুলা প্রয়োগ করা যেতে পারে । রোগীর লক্ষণ সাদৃশ্য হোমিও ঔষধ নির্দিষ্ট শক্তিতে রোগীকে প্রয়োগ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর পা অসাড় হয়ে আসলে লক্ষণ সাদৃশ্য কুরারী ঔষধটি ভালো কাজ দেয়।

ডায়াবেটিস রোগীর আনুষঙ্গিক সর্তকতাঃ

১) খালি পায়ে হাট চলা করা উচিত নয় ।
২)নরমনধরনের জুতা পরিধান করতে হবে।
৩)  নরম সুতির মোজা পড়ত হবে।
৪) পায়ের গোড়ালি ফাটা থাকলে ভ্যাসলিন জাতীয় ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
৫) নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে যাতে রক্তে এবং পায়ের তলার স্নায়ু গুলো ঠিক মতো রক্ত সরবরাহ হয় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
ডাঃ দীপংকর মন্ডল
রেজিস্টার্ড ফিজিশিয়ান এন্ড
প্রফেশনাল হোমিওপ্যাথ
১২/০২/২০২২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪