ajkerit

সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ করতে অবশ্য পালনীয় নিয়ম

বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই স্বাস্থকর জীবনযাপন দ্বারা সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু লাভ অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। তবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে, রোগ বালাই থাকতে হলে অবশ্যই মেনে চলতে হবে স্বস্থবিধির কিছু নিয়ম। গড়ে তুলতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস।  আর তাহলেই সুস্থ থাকবে শরীর ও মন উভয়ই। আর আপনার সামগ্রীক সুস্থতার উপরেই নির্ভর করছে আপনার নিজের ভাল থাকা এমনকি অন্যদেরও।
তাহলে আসুন আমরা এখন জেনে নেই কি করলে বা কিভাবে জীবনযাপন করলে আমরা শারিরীক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকত পারি।
দীর্ঘদিন অনিয়মিত জীবনযাপনে যেমন সৃষ্টি হয় রোগের ঠিক তেমনিভাবেই দীর্ঘদিনের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাসও সুস্থতার কারণ। একটি বৃক্ষ রোপনের সঙ্গে সঙ্গেই যেমন ফল দেয়না, ফলের জন্য কিছুকাল অপেক্ষা করা লাগে। ঠিক তেমনি সাস্থ্যকর জীবনযাপনের ক্রমাগত অভ্যাসও আপনায় এনে দেবে সুস্থতা।
স্বাস্থ্য


স্বাস্থকর জীবনযাপনের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়মাবলী আমি এখানে উল্লেখ করছি।

প্রতিদিন খুব ভোরে সূর্যোদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে জাগতে হবে। অতিরিক্ত রাত্রি জাগরঅ সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। (ভোরের অক্সিজেন পূর্ণ বাতাস শরীরের পক্ষে খুবই হিতকর)
১। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দাত ব্রাশ করার পরই এক থেকে দুই গ্লাস জল পান করতে হবে। সারাদিন প্রচুর পরিমাণে জলপান করতে হবে। ( প্রচুর জলপান করলে কিডনী ও লিভার ভাল থাকে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে) তবে রাতের বেলা কম জলপান করাই উত্তম । আহারের পরপরই জল খাওয়া যাবেনা তাতে খাদ্যদ্রব্য হজমে অসুভিদা হয়। আহারের কমপক্ষে আধাঘন্টা বা পিপাসা লাগার পূর্ব পর্যন্ত জল খাওয়া যাবেনা।
২। সবুজ শাকশব্জী খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। ডাল ও শীমের বীজে মাছ মাংসের ন্যয় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই মাছ মাংসের পরিবর্তে বিকল্প হিসাবে এগুলো খাওয়া যেতে পারে।
৩। চাউলের থেকে গমের পুষ্টিমান বেশী। তাই গম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
৪। সামুদ্রিক মাছ শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী তবে চিংড়ি মাছে প্রচুর পরিমাণে কোলেষ্ট্রল থাকায় তা পরিদর্শন রোগীর পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
৫। ফ্রীজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাদ্য অথবা অত্যাধিক গরম পানীয় বা খাদ্য শরীরের পক্ষে ক্ষতকির। পেয়ারা, আমলকী ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রিয়মিত খেলে দাঁত ভাল থাকে।
৬। সর্বদা পেট কিছুটা শূণ্য রেখে আহার করুন। এবং সময়ে অসময়ে আহার না করে নির্দিষ্ট সময়ে আহারের চেষ্টা করুন। ভাজাপোড়া, চর্বি জাতীয় খাবার যথাসম্ভব পরিহার করুন ।
৭। অনর্থক অতিভোজন ও অনর্থক অনাহার উভয়ই স্বাস্থ্যের পক্ষ ক্ষতিকারক। মাদক দ্রব্যের সেবন, ধুমপান, অতিরিক্ত রাত্রি জাগরণ, অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তা ইত্যাদি শরীর ও মনের অত্যধিক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম পালনে উপরিউক্ত নিয়মাবলী নিয়মিত পালন করার অভ্যাস করতে হবে। শরীর ও মনের প্রতি যত্নশীল হয়ে নিয়মমাফিক জীবনযাপনে অবশ্যই আমরা উত্তম ফলাফল লাভ করতে পারি। যা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও পৃথিবী সব কিছুর জন্যই যা দরকারী ।
………………………………………………………………………..
লেখকঃ দীপংকর মন্ডল
ডি এইচ এম এস, ঢাকা(চতুর্থ বর্ষ)
………………………………………………………………………..

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
ajkerit
ajkerit
ajkerit
ajkerit